শ্রাবণের শেষ সোমবারে শিবের মাথায় জল ঢালার ভীড় মন্দিরে

16th August 2021 2:58 pm বর্ধমান
শ্রাবণের শেষ সোমবারে শিবের মাথায় জল ঢালার ভীড় মন্দিরে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার উপলক্ষে সোমবার সকাল থেকেই কাঁকসার সিলাম পুরের বাউল দাসের কেন্দুলি মেলার পৌরাণিক শিব মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে ভিড় জমান ভক্তরা। ভক্তরা জানিয়েছেন গোটা শ্রাবণ মাস ধরেই বহু ভক্ত এই মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। তবে শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবারে কয়েক হাজার ভক্তরা পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থেকে গঙ্গাজল নিয়ে পায়ে হেঁটে কাঁকসার সিলামপুরের কেন্দুলী মেলা প্রাঙ্গণের পৌরাণিক শিব মন্দিরে এসে জল ঢালেন। স্থানীয়রা জানান প্রায় ১২শো বছর আগে ইছাই ঘোষের সভাকবি কবি দাস এর শিষ্য ছিলেন বাউল দাস। বাউল দাস কাঁকসার শিলামপুরে এসে সাধনা করেন। এবং সেখানেই তিনি একটি আখড়া তৈরি করেন। প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তিতে সেখানে মেলা বসে। সেই মেলার নামকরণ হয় বাউল দাসের কেন্দুলি মেলা। মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে একটি শিব মন্দির। জানা যায় দামোদর নদে প্লাবনের ফলে বাঁকুড়া থেকে ওই শিবলিঙ্গটি কাঁকসার সিলামপুরে ভেসে আসে। এবং সিলামপুরে কেন্দুলি মেলা প্রাঙ্গণে এসে নিজেই প্রতিষ্টিত হয়। বাঁকুড়ার বাসিন্দারা বহুবার ওই শিবলিঙ্গটি তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা বিফল হয়। তারপর থেকেই সিলামপুরের কেন্দুলি মেলা প্রাঙ্গণে প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে মহা ধুমধামে পুজোর আয়োজন হয়।
মন্দিরের পুরোহিত বলেন প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে বহু ভক্তের ভিড় জমে মন্দিরে। তবে এ বছর করোনার বিধি-নিষেধ মেনে মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ করানো হচ্ছে। তবে তারা মহাদেবের কাছে প্রার্থনা করেছেন যাতে বিশ্ব থেকে করোনা দ্রুত নির্মূল হয় এবং মানুষ যাতে নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারে। বক্তারা বলেন তারা নানান মানসিক করেন মহাদেবের কাছে। সেই মানসিক পূরণ হলে তারা কাটোয়া থেকে গঙ্গাজল বাঁকে করে নিয়ে এসে মহাদেবের মাথায় ঢালেন। এই প্রথা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।